পঞ্চগড়ের দুই সীমান্ত দিয়ে আরও ২৩ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
পঞ্চগড়ের দুটি সীমান্ত দিয়ে নারী-শিশুসহ ২৩ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল বুধবার গভীর রাতে তাদের ঠেলে পাঠানোর ঘটনা ঘটে।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্র জানায়, জেলার বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের মালকাডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে রাত ১টার দিকে ১৭ জনকে এবং সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের শিংরোড সীমান্ত দিয়ে রাত ৩টার দিকে ৬ জনকে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ। ঠেলে পাঠানো নারী, শিশুসহ ২৩ জনকে রাতেই সীমান্ত এলাকা থেকে আটক করে বিজিবি। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁদের পঞ্চগড় সদর ও বোদা থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে সাতজন পুরুষ, আটজন নারী ও আটজন শিশু রয়েছে। তাঁদের বাড়ি বাগেরহাট ও নড়াইল জেলার বিভিন্ন এলাকায়।
বিজিবি জানায়, বোদা উপজেলার মালকাডাঙ্গা সীমান্তের ৭৭৪ নম্বর মেইন পিলারের ১০ নম্বর সাব–পিলার থেকে প্রায় ৩০০ গজ বাংলাদেশের ভেতরে দাড়িয়ার মোড় এলাকা থেকে ১৭ জনকে আটক করা হয়। তাঁদের ভারতের ১৩০ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কুটিলা ক্যাম্প থেকে ঠেলে পাঠানো হয়েছে।
অন্য দিকে সদর উপজেলার শিংরোড সীমান্তের ৭৬৪ নম্বর মেইন পিলারের ১২ নম্বর সাব–পিলার থেকে প্রায় ২০০ গজ ভেতরে ব্রাহ্মণপাড়া এলাকা থেকে ছয়জনকে আটক করে বিজিবি। তাঁদের ঠেলে পাঠায় ভারতের ৯৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের খয়েরবাড়ী ক্যাম্প।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা বলেন, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে ভারতে বসবাস করছিলেন এবং বিভিন্ন এলাকায় কাজ করতেন। সম্প্রতি গুজরাট ও দিল্লি থেকে তাঁদের আটক করে ভারতীয় পুলিশ। পরে উড়োজাহাজ ও বাসে করে সীমান্তে এনে বিএসএফের মাধ্যমে বাংলাদেশে পাঠানো হয়।
৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মো. বদরুদ্দোজা বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, এ ঘটনায় দুই সীমান্তে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছে।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ হিল জামান বলেন, ঠেলে পাঠানো ছয়জনকে থানায় হস্তান্তর করেছে বিজিবি। প্রাথমিকভাবে তাঁরা নিজেদের বাংলাদেশি বলে জানিয়েছেন। পরিচয় ও নাগরিকত্ব যাচাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দিন বলেন, বিজিবির হস্তান্তর করা ১৭ জনের বিষয়ে যাচাই-বাছাই চলছে।
এর আগে চলতি বছরের ১৬ মে থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বিএসএফ পঞ্চগড় সীমান্ত দিয়ে আরও ১১৪ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠায়।