শেষ তিন ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদ জয়হীন। আর সুযোগটা দারুণভাবে কাজে লাগিয়ে লা লিগার পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেছে বার্সেলোনা। ঘরের মাঠে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে আক্রমণের পসরা সাজালেন রাফিনিয়া, লামিনে ইয়ামালরা। স্রোতের বিপরীতে গোল হজম করলেও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে পূর্ণ ৩ পয়েন্ট তুলে নিয়েছে হ্যান্সি ফ্লিকের দল। এই জয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়ালের সঙ্গে তাদের পয়েন্টের ব্যবধান বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪, তবে এক ম্যাচ বেশি খেলেছে কাতালান জায়ান্টরা।
![]() |
| ইনজুরি থেকে ফিরেই আলো ছড়াচ্ছেন রাফিনিয়া। ছবি: রয়টার্স |
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) ক্যাম্প ন্যুয়ে সফরকারী অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা। অ্যালেক্স বায়েনার গোলে মাদ্রিদের দলটি এগিয়ে যাওয়ার পর দ্রুতই সমতা ফেরান রাফিনিয়া। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে দানি ওলমো ও ফেরান তরেসের গোলে বার্সার বড় জয় নিশ্চিত হয়।
এই জয়ে ১৫ ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান সুসংহত করেছে বার্সা। কাতালানরা ১২ জয় ও ১ ড্রয়ে এই পয়েন্ট অর্জন করেছে, হেরেছে বাকি দুই ম্যাচ। ১৪ ম্যাচে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রিয়াল মাদ্রিদ। আজ (৩ ডিসেম্বর) অ্যাথলেটিক বিলবাওকে হারাতে পারলে পয়েন্ট ব্যবধান ফের ১ পয়েন্টে নামিয়ে আনার সুযোগ আছে শাবি আলনসোর দলের সামনে।
টানা ৬ ম্যাচ জিতে উড়তে থাকা অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ এই হারের পর সমান ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে চারে আছে। এটি মৌসুমে তাদের দ্বিতীয় হার
ঘরের মাঠে দাপট দেখিয়েছে বার্সা। ৫ শতাংশ বল দখলে রেখে ১৮টি শট নিয়ে ৬টি লক্ষ্যে রেখেছে তারা। বিপরীতে সফরকারীরা ৭টি শট নিয়ে ২টি লক্ষ্যে রাখতে পেরেছে।
বার্সার বেশ কয়েকটি ব্যর্থ আক্রমণের পর নিজেদের প্রথম আক্রমণেই লিড পায় অ্যাতলেটিকো। ১৯ মিনিটে নিজেদের অর্ধ থেকে পাস বাড়ান নাহুয়েল মলিনা। অফসাইড ট্র্যাপ ভেঙে বল ধরে এগিয়ে বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন অ্যালেক্স বায়েনা। রেফারি প্রথমে অফসাইডের বাঁশি বাজালেও পরে ভিএআর দেখে সিদ্ধান্ত বদলান।
জবাব দিতে বার্সার লেগেছে ৭ মিনিট। দারুণ এক গোলে দলকে সমতায় ফেরান চোট কাটিয়ে ফেরা রাফিনিয়া। পেদ্রির বাড়ানো থ্রুবল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আগুয়ান গোলরক্ষককে পাশ কাটিয়ে বল জালে পাঠান এই ব্রাজিলিয়ান।
এর ১০ মিনিট পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ পেয়েছিল স্বাগতিকরা। পেনাল্টি পেয়েছিল বার্সা, কিন্তু স্পটকিক ওপর দিয়ে উড়িয়ে মেরে নষ্ট করেন লেভানদোভস্কি।
দ্বিতীয়ার্ধের ৬৫ মিনিটে এগিয়ে যায় বার্সা। দারুণ ফিনিশিংয়ে বার্সাকে গোল এনে দেন ওলমো। বক্সের বাইরে লেভানদোভস্কিকে পাস দিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়েন তিনি। জটলার মধ্যে ফিরতি বল পেয়ে বাঁ পায়ের কোনাকুনি শটে গোল করেন এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার।
বার্সা তৃতীয় গোলটি পায় যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে। ডানদিক থেকে আলেহান্দ্রো বালদের পাস ছয় গজ বক্সের বাইরে ফাঁকায় পেয়ে জালে পাঠান এই স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড।
