‘সে আমার জীবন ধ্বংস করেছে’, ‘পুতিনকন্যা’র ব্যক্তিগত পোস্ট নিয়ে হইচই

 

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কথিত কন্যা এলিজাভেটা ক্রিভোনোগিখ টেলিগ্রাম চ্যানেলে একটি ব্যক্তিগত পোস্ট করে আবারও হইচই ফেলে দিয়েছেন। যেখানে তিনি একজন ‘মানুষ’ সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেছেন, যিনি তার জীবন ধ্বংস করেছেন এবং কোটি কোটি মানুষের জীবন নিয়েছেন। এলিজাভেটা কারও নাম বলেননি, তবে গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে যে, তিনি ভ্লাদিমির পুতিনের কথাই বলেছেন। 


জার্মান সংবাদপত্র বিল্ড টেলিগ্রামে ২২ বছর বয়সী এই তরুণীর বেশ কয়েকটি পোস্ট পেয়েছে যেখানে তিনি লিখেছেন, বিশ্বের সামনে আবার মুখ দেখাতে পারাটা মুক্তির। এটি আমাকে মনে করিয়ে দেয় যে, আমি কে এবং কে আমার জীবন ধ্বংস করেছে।

 
এলিজাভেটা একসময় নিয়মিতভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যক্তিগত জেট এবং অভিজাত নাইটক্লাব সম্পর্কে পোস্ট করতেন। কিন্তু ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন উত্তেজনা বৃদ্ধির সময় তার অ্যাকাউন্টটি অদৃশ্য হয়ে যায়।
 ধারণা করা হয়, পুতিন ও তার সাবেক পরিচারিকা সভেতলানা ক্রিভোনোগিখের সন্তান ২২ বছর বয়সী এলিজাভেটা। ২০০৩ সালে সেন্ট পিটার্সবার্গে তার জন্ম।
 
তিনি নিজের একটি সেলফি প্রকাশ করে ক্যাপশনে লেখেন, ‘আবারও সবার সামনে নিজের মুখ দেখাতে পারাটা মুক্তির মতো অনুভব হচ্ছে। এটা আমাকে মনে করিয়ে দেয়—আমি কী হতে জন্মেছিলাম, আর কে আমার জীবনটা শেষ করে দিয়েছে।’

২০২০ সালে, একটি স্বাধীন সংবাদমাধ্যম প্রোইক্ট দাবি করে, তারা রাশিয়ান প্রেসিডেন্টের কথিত ‘গোপন কন্যা’ খুঁজে পেয়েছে। পুতিনের সাথে সম্পর্কের আগে সভেতলানা একজন সাধারণ নারী ছিলেন। কিন্তু পরে তিনি রাশিয়ান কোটিপতিতে পরিণত হন। সভেতলানার সম্পদের তদন্ত করতে গিয়েই এলিজাভেটার তথ্য জানা গেছে বলেও জানানো হয়। 
 
প্রতিবেদনে আরও অভিযোগ করা হয়েছে যে, একজন রাশিয়ান নেতার সাথে প্রেমের সম্পর্কের পর তিনি তার ভাগ্যের কাছে ঋণী থাকবেন। ২০২০ সালে সভেতলানার সম্পদের পরিমাণ অনুমান করা হয়েছিল প্রায় ১০ কোটি ডলার (প্রায় ১ হাজার ২২০ কোটি টাকা)।
প্রোইক্টের প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে, সভেতলানার মেয়ের সাথে পুতিনের অদ্ভুত সাদৃশ্য রয়েছে। পরে অভিযুক্ত মেয়েটিকে লুইজা রোজোভা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে তিনি গোপনে রয়েছেন।
 
তবে ক্রেমলিন এই গুজবগুলোকে বরাবরই ভিত্তিহীন এবং বিশ্বাসযোগ্য নয় বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
 
এই বছরের শুরুতে, রাশিয়ান শিল্পী নাস্ত্য রোডিওনোভা দাবি করেছিলেন যে এলিজাভেটা প্যারিসের দুটি আর্ট গ্যালারিতে ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করেন যা যুদ্ধবিরোধী শিল্প প্রদর্শনের জন্য পরিচিত।

নিউইয়র্ক পোস্ট জানায়, রুদনোভা ছদ্মনাম ব্যবহার করতেন এলিজাভেটা।  যা পুতিনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ওলেগ রুদনভের সাথে মিলে যায়। যিনি ২০১৫ সালে মারা গেছেন।
 
২০২১ সালের এক অডিও সাক্ষাৎকারে, রোজোভা পুতিনের সাথে তার সাদৃশ্য নিশ্চিত বা অস্বীকার কোনোটিই করেননি, বলেছেন যে অনেকেরই একই রকম বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সে সময় তিনি বাবলে (বুদ্বুদে) বসবাস, সংবাদ এড়িয়ে চলা এবং ফ্যাশন এবং বন্ধুদের সাথে মেলামেশায় তার মনোযোগের কথা জানিয়েছিলেন। 
 
সূত্র: এনডিটিভি
নবীনতর পূর্বতন